GK Dutta – Official Website

সময়টা ১৯৯০ সাল সবে শৈশবের উন্মুক্ত গণ্ডী পেরিয়ে স্কুলে পা রাখা… বাবার হাত ধরে স্কুল জীবনের শুরুর প্রথম দিনটা ছিল অশ্রুসিক্ত! সবকিছু মিলিয়ে আমার স্কুল জীবনের শুরু হয় দেওয়ানপাশা কলোনি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় থেকে। অনেক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেত্রাঘাত ছিল ছাত্র জীবনের পরম আশীর্বাদ।
আমাদের সময়ে বর্তমান শ্রীপুর মাটের পশ্চিম প্রান্তের গোল পোষ্টের পাশেই চটি প্লাস্টার বেড়ার ঘর ছিল নিচটা ছিল কংক্রিটের ঢালাই করা। মাটিতে মাদূর এর উপর বসে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠদান চলত। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চলত বর্তমান শিক্ষক রুমের পাশের অংশের বাঁশের বেড়ার দুটি কক্ষ ছিল সেখানে।

আজ আর অতিথের স্মৃতি চারণ ছাড়া অনেক কিছুই অবশিষ্ট নেই। নেই সেই শৈশব, নেই সেই উন্মাদনা- উদ্দীপনা, নেই সেই একাত্মবোধ। শুধু রয়েছে গেছে শৈশবের সেইসব অমলিন স্মৃতি আর মাঠের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের একটি তৈরল গাছ ও মাঠের উত্তর প্রান্তের একটি জলের হ্যান্ড পাম্প। এসবের সাথে আমাদের শৈশব জড়িয়ে আছে।
মনে পড়ে, আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেত্রাঘাত গুলি… এখনকার মা-বাবাদের মত হয়ত আমাদের মা-বাবা’রা আমাদের এতোটা ভালোবাসতেন না, তাই স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মারলে মা-বাবারা সেটা জানলে আমাদের আরও দ্বিগুণ মারতেন।
আমাদের সময়ে স্কুল টিফিন এর গল্পটা ছিল অন্যরকম, ব্রেড-কলা, মুড়ি-গুর ইত্যাদি। ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া আবার কখনো কখনো চুরি-চুপি একে অন্যের টিফিন খেয়ে ফেলা ইত্যাদি কত কি!

সেইসব দিনগুলি আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে! তবে আজও মনে পড়ে সেই সব দিন গুলি, যে দিন গুলি চিরতরে হারিয়ে গেছে আমাদের জীবন থেকে। স্কুল জীবনের সেইসব বন্দুরা যে যার মতো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছি। এখন আমরা আর কেউ কারো খুজ রাখি না। আধুনিকতা আর তথ্য প্রযুক্তি আমাদের গ্রাস করে নিয়েছে।

আসলে আমরা সবাই যে যার মত করে বড় হয়ে গেছি!


CR007414CU00511, 07.06.2021, 17.30 Hrs
Open chat
1
Hi! We're here to answer any questions you may have.